নরসিংদীতে ক্রিকেট খেলা নিয়ে জুয়ার রমরমা ব্যবসা
শেখ রাসেল নরসিংদীঃ
-cbfnewstv
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। ক্রিকেটই এখন দেশের মানুষের কাছে ধ্যান-জ্ঞান। বাংলাদেশের খেলার দিন ১৬ কোটি মানুষ তাকিয়ে থাকে টিভিস্ক্রিনের দিকে, অনেকে আবার সময় পেলে লাল-সবুজ জার্সি পরে চলে যান স্টেডিয়ামে। আর দেশের বাইরে খেলা হলে চোখ রাখেন টিভির পর্দায় কিংবা হেড ফোনে রেডিওতে শোনেন ধারা বিবরণী। বাংলাদেশের খেলার দিন শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও খবর রাখি মাশরাফি-মুশফিক-সাকিবরা কেমন খেলছেন। রিকশা চালক রিকশা থামিয়ে মোড়ে দোকানে উঁকি মারেন নিজ দেশের খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স জানতে। আর এক ধরনের অসাধু চক্র মানুষের আবেগ-ভালবাসাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার টাকার ফলাফল বাজি, ওভার বাজি, রানবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলছেন। এ জুয়াবাজির ফাঁদে পড়ে অনেকেই হয়ে যাচ্ছেন নিঃস্ব। টাকার লেনদেন নিয়ে অনেক সময়ই ঘটে নানা ধরনের বিপত্তির ঘটনা। জুয়াবাজি চলছে রাস্তার মোড়ের দোকানসহ প্রজেক্টরের বড় পর্দা দেখে প্রকাশ্য দিবালোকেই। অর্থাৎ নরসিংদী সদর উপজেলা চৌয়ালা, বিভিন্ন টংগ দোকানে, শিবপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে, পলাশ উপজেলা ও রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খেলছে জোয়া এসব দেখার কেউ নেই। আইন-শৃংখলা বাহিনী মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে কিংবা গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও কিছুতেই পেরে উঠছে না এ জুয়াড়ি এবং বাজিকরদের সঙ্গে। জুয়ার নেশায় প্রায় প্রতিটি ম্যাচ এমনকি ১ম শ্রেণীর ঘরোয়া লীগেও চলে রমরমা জুয়া বাণিজ্য।
জানা যায়, বাংলাদেশের ম্যাচ হলে তাদের অধিকাংশ বাজিকরই বাজি ধরতে চান না। এর কারণ হিসেবে বাজিকররা জানান, দুর্বল দলের বিপক্ষে খেলা হলে কেউ বাংলাদেশের বিপক্ষে যেতে চান না। যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যান তাদেরও বাজির দরটা হেরফের হয় আকাশ-পাতাল। অন্যদিকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলা হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে কেউ যেতে চান না। বাংলাদেশের ম্যাচ জুয়াড়িদের জন্য অস্বস্তিকর। কাজেই বাজিকরদের চরম অপছন্দ বাংলাদেশের ম্যাচ। বাংলাদেশের ম্যাচের দিন জুয়াবাজির কাস্টমারও কম হয় বলে জানা যায়। নগদ বাজির পাশাপাশি চলে মাসব্যাপী বাকি বাজির পসরা। এটাকে অনেকে মাসিক ইনকামের অংশ হিসেবে দেখেন। তবে অনেক সময় কেউ কেউ নিস্ব হয়ে যান বাজির টাকা পরিশোধ করতে। মাসিক বাজির ক্ষেত্রে বাজির দলিল দস্তাবেজ সংরক্ষণ করা হয় মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে। তবে পরিবারের লোকজনের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে এক্ষেত্রে বেশ সতর্ক জুয়াড়িরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা দুটি মোবাইল ব্যবহার করেন। বাজির দরটা বেশি হলে মোবাইলে রেকর্ডিংটাও করে রাখা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাজিকর জানান, মাসিক বাজিটা সাধারণত করা হয় দীর্ঘদিনের বাজির পার্টনারের সঙ্গে। তবে এক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা জরুরি। মাসের নির্দিষ্ট একটা তারিখ দেয়া থাকে ওইদিনই টাকা পরিশোধ করতে হয়। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেশি হলে একটা নির্দিষ্ট অংশ অবশ্যই পরিশোধ করতে হয় বলে জানান তিনি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাসিক বাজির ক্ষেত্রে তালিকায় যোগ হয় স্পেন, ইটালির বিভিন্ন লীগের ফুটবল ম্যাচগুলো। এক্ষেত্রে র্যাংঙ্কিং দেখে বাজির দরটা ঠিক করা হয়।
শেখ রাসেল নরসিংদীঃ
-cbfnewstv
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। ক্রিকেটই এখন দেশের মানুষের কাছে ধ্যান-জ্ঞান। বাংলাদেশের খেলার দিন ১৬ কোটি মানুষ তাকিয়ে থাকে টিভিস্ক্রিনের দিকে, অনেকে আবার সময় পেলে লাল-সবুজ জার্সি পরে চলে যান স্টেডিয়ামে। আর দেশের বাইরে খেলা হলে চোখ রাখেন টিভির পর্দায় কিংবা হেড ফোনে রেডিওতে শোনেন ধারা বিবরণী। বাংলাদেশের খেলার দিন শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও খবর রাখি মাশরাফি-মুশফিক-সাকিবরা কেমন খেলছেন। রিকশা চালক রিকশা থামিয়ে মোড়ে দোকানে উঁকি মারেন নিজ দেশের খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স জানতে। আর এক ধরনের অসাধু চক্র মানুষের আবেগ-ভালবাসাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার টাকার ফলাফল বাজি, ওভার বাজি, রানবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলছেন। এ জুয়াবাজির ফাঁদে পড়ে অনেকেই হয়ে যাচ্ছেন নিঃস্ব। টাকার লেনদেন নিয়ে অনেক সময়ই ঘটে নানা ধরনের বিপত্তির ঘটনা। জুয়াবাজি চলছে রাস্তার মোড়ের দোকানসহ প্রজেক্টরের বড় পর্দা দেখে প্রকাশ্য দিবালোকেই। অর্থাৎ নরসিংদী সদর উপজেলা চৌয়ালা, বিভিন্ন টংগ দোকানে, শিবপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে, পলাশ উপজেলা ও রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খেলছে জোয়া এসব দেখার কেউ নেই। আইন-শৃংখলা বাহিনী মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে কিংবা গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও কিছুতেই পেরে উঠছে না এ জুয়াড়ি এবং বাজিকরদের সঙ্গে। জুয়ার নেশায় প্রায় প্রতিটি ম্যাচ এমনকি ১ম শ্রেণীর ঘরোয়া লীগেও চলে রমরমা জুয়া বাণিজ্য।
জানা যায়, বাংলাদেশের ম্যাচ হলে তাদের অধিকাংশ বাজিকরই বাজি ধরতে চান না। এর কারণ হিসেবে বাজিকররা জানান, দুর্বল দলের বিপক্ষে খেলা হলে কেউ বাংলাদেশের বিপক্ষে যেতে চান না। যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যান তাদেরও বাজির দরটা হেরফের হয় আকাশ-পাতাল। অন্যদিকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলা হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে কেউ যেতে চান না। বাংলাদেশের ম্যাচ জুয়াড়িদের জন্য অস্বস্তিকর। কাজেই বাজিকরদের চরম অপছন্দ বাংলাদেশের ম্যাচ। বাংলাদেশের ম্যাচের দিন জুয়াবাজির কাস্টমারও কম হয় বলে জানা যায়। নগদ বাজির পাশাপাশি চলে মাসব্যাপী বাকি বাজির পসরা। এটাকে অনেকে মাসিক ইনকামের অংশ হিসেবে দেখেন। তবে অনেক সময় কেউ কেউ নিস্ব হয়ে যান বাজির টাকা পরিশোধ করতে। মাসিক বাজির ক্ষেত্রে বাজির দলিল দস্তাবেজ সংরক্ষণ করা হয় মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে। তবে পরিবারের লোকজনের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে এক্ষেত্রে বেশ সতর্ক জুয়াড়িরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা দুটি মোবাইল ব্যবহার করেন। বাজির দরটা বেশি হলে মোবাইলে রেকর্ডিংটাও করে রাখা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাজিকর জানান, মাসিক বাজিটা সাধারণত করা হয় দীর্ঘদিনের বাজির পার্টনারের সঙ্গে। তবে এক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা জরুরি। মাসের নির্দিষ্ট একটা তারিখ দেয়া থাকে ওইদিনই টাকা পরিশোধ করতে হয়। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেশি হলে একটা নির্দিষ্ট অংশ অবশ্যই পরিশোধ করতে হয় বলে জানান তিনি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাসিক বাজির ক্ষেত্রে তালিকায় যোগ হয় স্পেন, ইটালির বিভিন্ন লীগের ফুটবল ম্যাচগুলো। এক্ষেত্রে র্যাংঙ্কিং দেখে বাজির দরটা ঠিক করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন